I do some creative writings and call it poetry. I have a secret wish, Someday I want to be a great poet. If you encourage me, I will be happy. Here, I am presenting to you some of my works. Please give me your comments.
(1)
সময়ের থেকে আগে, বড় একা লাগে,
তাই সরে আসি পিছে ৷
উড়তে জানা সত্বেও ফিরে ফিরে জণারণ্যে আসি ৷
পায়ে হাটি পথ, অতি শ্লথ, শামুকের দলে ভীড়ে ৷
চিন্তা-চেতনা খোলসের আবরণে মুড়ে ৷
রোকেয়া বেগমের অসমচক্র শকট
যেভাবে ইউটার্ন নিয়ে ফেরে,
সেভাবে বারে বারে আসি ফিরে ৷
শিকড় আকরে ধরে থাকা গাছগুলো থেকে ধ্বনিত হয়,
ও আমাদের মত নয়, ও পাগল, অহংকারী, অটিস্টিক ৷
তারপর ওরা আমাকে শিকড়ের সাথে শক্ত করে বাঁধে ৷
বলে, এখানে এখন রোদ, এটাই বাস্তব ৷
বৃষ্টি বলে কিছু নেই, বৃষ্টি মিথ্যা ৷
আমি আকাশে চোখ রেখে দেখি দূরে মেঘ ঘনিয়েছে ৷
বাতাসে কান পেতে শুনি মেঘের গর্জন ৷
বলি, ঐ তো পাশের জনপদে বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টি মিথ্যা নয় ৷
ওরা বলে, কোথায় ?
আমরা তো দেখিনা, আমরা তো শুনিনা !
তুমি পাগল হয়েছো,
তাই আমাদের চেয়ে বেশী দেখতে পাচ্ছো ৷
এই কূপ ছাড়া আর কোনো কূপ নেই ৷
ওরা আমার চোখ বেঁধে দেয়, কানে দেয় তুলা ৷
আমিও অন্ধ হয়ে যাই, আমিও বয়রা হয়ে যাই ৷
শিকড়ে মাটি আকড়ে ধরে বলি,
বৃষ্টি বলে কিছু নেই, এ রোদই বাস্তব ৷
শামুকের খোলসে ঢুকে বলি,
এই কূপ ছাড়া কোনো কূপ নেই ৷
উড়তে জানা সত্বেও ফিরে ফিরে জণারণ্যে আসি ৷
পায়ে হাটি পথ, অতি শ্লথ, শামুকের দলে ভীড়ে ৷
চিন্তা-চেতনা খোলসের আবরণে মুড়ে ৷
রোকেয়া বেগমের অসমচক্র শকট
যেভাবে ইউটার্ন নিয়ে ফেরে,
সেভাবে বারে বারে আসি ফিরে ৷
শিকড় আকরে ধরে থাকা গাছগুলো থেকে ধ্বনিত হয়,
ও আমাদের মত নয়, ও পাগল, অহংকারী, অটিস্টিক ৷
তারপর ওরা আমাকে শিকড়ের সাথে শক্ত করে বাঁধে ৷
বলে, এখানে এখন রোদ, এটাই বাস্তব ৷
বৃষ্টি বলে কিছু নেই, বৃষ্টি মিথ্যা ৷
আমি আকাশে চোখ রেখে দেখি দূরে মেঘ ঘনিয়েছে ৷
বাতাসে কান পেতে শুনি মেঘের গর্জন ৷
বলি, ঐ তো পাশের জনপদে বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টি মিথ্যা নয় ৷
ওরা বলে, কোথায় ?
আমরা তো দেখিনা, আমরা তো শুনিনা !
তুমি পাগল হয়েছো,
তাই আমাদের চেয়ে বেশী দেখতে পাচ্ছো ৷
এই কূপ ছাড়া আর কোনো কূপ নেই ৷
ওরা আমার চোখ বেঁধে দেয়, কানে দেয় তুলা ৷
আমিও অন্ধ হয়ে যাই, আমিও বয়রা হয়ে যাই ৷
শিকড়ে মাটি আকড়ে ধরে বলি,
বৃষ্টি বলে কিছু নেই, এ রোদই বাস্তব ৷
শামুকের খোলসে ঢুকে বলি,
এই কূপ ছাড়া কোনো কূপ নেই ৷
(2)
কোন অভিশাপে দ্বীপচালান হলো আমাদের,
সমাজের মূল স্রোত থেকে দূরে,
দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে,
আন্দামান - নিকোবরে ভেসে,
শিকড় বিহীন গাছের মত
বেড়ে উঠলাম নড়বড়ে ভিতের উপরে,
আজ তরুণ হয়েও তরুণের হৃৎস্পন্দন শুনতে পাইনা ৷
আমার চোখেমুখে লেখা আছে, আমি বহিরাগত ৷
যে মানসিক সম্পদ তুমি সবাইকে দিয়েছো,
আমাকেও দাও ৷
হে বিধান, আমাকে মেশাও মানুষে ৷
(3)
যতদূর চাই, কোথা কেহ নাই,
শুধু আমি আর আমি ৷
ফেলে আসা পথে পড়ে আছে শুধু
নষ্ট সময় দামী ৷
কত হাত ছিলো এই হাতে ধরা ৷
কত আশা দিলো মিত-স্বজনেরা ৷
কতজন ঠেলে এ পথে পাঠিয়ে দিলো ৷
আজ কে কোথায় ?
ছায়াও দেখিনা কোনো ৷
আমার যে এক ভিন্ন স্ব-পথ ছিলো ৷
এ পথের থেকে সহজ সে পথ ছিলো ৷
তোমাদের পথে পাঠিয়ে আমাকে
ব্যার্থ কেন গো বলো ?
বেশ তো ছিলাম নিজের স্বপ্ন নিয়ে ৷
সফল অথবা বিফল যেটাই হতাম,
সান্তনা তবু পেতাম নিজের মনে ৷
তোমরা যে পথ পারোনি গো পাড়ি দিতে,
সে পথের বোঝা চাপালে আমার ঘাড়ে !
পরের স্বপ্ন পূরণে ব্যার্থ হয়ে,
নিজের স্বপ্ন বুকে মাটিচাপা দিয়ে,
দাড়িয়েছি এসে পথের সীমানা শেষে ৷
নেই যার কিছু, সহানুভূতি তো থাকে ৷
থেকেও যার নেই, কেউ বুঝবেনা তাকে ৷
(4)
এই পথ ধরে যদি এমনি করে হেটে চলে যাই,
যদি হাটতেই থাকি, যেদিকে দু'চোখ যায়,
কেউ কি বলবে দাড়াও ? কেউ কি ডাকবে পিছু ?
দিয়েছিলাম কি কোনো দান ?
পাওনা-দেনা আছে কি কিছু ?
সংসারধর্ম মাঝে, নানা পেরেশানীময় কাজে,
ডুবে ছিলাম যতদিন,
লক্ষ্য নির্ধারণ আর পূরণের টানে ৷
একই বিছানা প্রতিরাতে, ছারপোকাদের সাথে,
শৃঙ্খলাবদ্ধ গৃহস্থ জীবনে, হিসাবের ফাঁকে,
কারো হৃদয়ে কেটেছি কি মায়ার দাগ ?
এনেছি কি অশ্রু কারো চোখে ?
বাঁধন আছে কি কোনো ?
পিছুটান ?
রইলো তোমাদের লক্ষ্য, রইলো অর্জন-উপার্জন ৷
রইলো ঘর-দোর খাঁচা ৷
আমি পেয়েছি অলক্ষ্য স্বামীর দেখা ৷
আলেক সাঁই অথবা আলাক, মনকে দিলাম ছেড়ে,
মন আজ পালাক…
(5)
সখী, সখ্য রস পিয়াসী আমার, এসো আদিরুপে
আমি রাঙাবো না চোখ, থামাবোনা প্রকাশ তোমার
দেবোনা লজ্জা, চাইবোনা সঙ্গ ছাড়া কিছু আর
এই হাত ধরো, এসো হাটি যেদিকে ইচ্ছা হয়
এসো বসি কৃষ্ণচূড়া বিছানো পথের পাশে
এসো জলে পা ভেজাই, এসো শুয়ে থাকি ঘাসে
চলো করি যা খুশী তাই… নেই কোনো ভয়
যদি মন করতে পারি জয়, সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে
সন্ধ্যার আঁধারে নাহয় একটা চুমু উপহার দিও এসে
(6)
আমার আসে উড়ে চলার দিন
আমার আসে ডুবে থাকার দিন
সাক্ষী থাকে সবুজ এই উদ্যান
তারও আসে কত পাতাঝরা শীত
তার কাছেও শুনি বসন্তের গীত
কত হাত ধরে এসেছি এখানে
হাসি উচ্ছাসে কত শুভদিনে
কত কাটিয়েছি বিরহপ্রহর মলিন বদনে
উদ্যান ছিলো এমনি সবুজ, এমনি অবুঝ
শুধায়নি কিছু
ফেলেনাই কভু লজ্জায় মোরে
অপমান করে করেনাই নিচু
হে উদ্যান, শহরের প্রাণ, লক্ষ প্রেমের সাক্ষী
বেঁচে থাকো তুমি, প্রিয় বনভূমি, আমরা তোমার রক্ষী।
(7)
আধার ঘরে ঢুকবে আমার আলো
জানলাগুলো দিলাম এবার খুলে
ঢুকবে হাওয়া, দুপুর রোদের সাথে
দেয়ালঝোলা দিনলিপিটি উঠবে দুলে
মাকড়সাজাল উঠবে ফুলে ফুলে
ঝলমলিয়ে উঠবে আমার
হারমোনিয়াম তবলা দোতার
ডাইরী কলম কোরান পুরাণ বাঁশি
তোমার আলোয় আমার মুখে
ফুটবে এবার হাসি।
(8)
শোনরে কৃষক, শোনরে শ্রমিক ভাই,
খেটে খাস বলে, দেহ ভালো চলে,
শান্তির সীমা নাই।
নাইবা পকেটে থাকলো পয়সা,
তবু সদা মনে রাখিস ভরসা,
লুটে খাই নাকো, খেটে খাই মোরা,
ডাল-ভাত যাহা পাই।
মোদের শ্রমেতে যত চাকা ঘোরে,
দরদর করে ঘাম ঝরে পড়ে,
রোগ ব্যাধি কিছু নাই।
ওদিকে টাকলা-পূঁজিপতি গণে
এসি রুমে বসে বেশী টাকা গোণে
ব্যাকপেইন আছে তাই।
3 number ta best
ReplyDelete🖤
ReplyDelete