দেখরে মন তালাশ করি, হায়াতের কাছারি,
যমের থানায় ঘন্টা মারে আছোস কয় ঘড়ি ।।
বানাইয়া আদম পুরি সত্তুর হাজার কোঠা করি,
কোন কোঠাতে বইসা খেলা করে মিস্তিরি ।
উপর তলায় রাজ কাছারি, ৪ রঙে তার কর্মচারী
হাওয়ার কলে নিত্যই খেলে প্রেমের কাণ্ডারী ।।
সেই যে চিকন কালা, নিত্যই নিঃশ্বাসে খেলা
বাজায় বাঁশি কদমতলা নিজ নাম ধরি ।
যে শোনে বাঁশির টান, ঘরে নাহি রহে প্রাণ,
জিয়ন মরণ সমান কথা, নামের ভিখারী ।।
আমারও কপালে নাই, বিছাড়িনু ঠাই ঠাই
বল আমি কোথায় যাই
কোথায় গেলে মিলিবো কাণ্ডারী
আমারই স্বভাবদোষে ঘুরলাম কত হুশ বেহুশে
পাইলামনা কর্মদোষে সঙ্গের সঙ্গী করি ।।
মুর্শীদের বর্জক ধইরে, ভাবিয়া দেখ তুই নিগূঢ়ে
ঘরে দমের কোঠায় তালা দিয়ে দেখ উজান শহরে ।
উজান শহরে দেখবে যদি, পাবে কালা নিরবধি,
রবে না তোর কোনো ব্যাধি কলব মাজারে ।।
দশ দরজায় দিয়া তালা, নাটমন্দিরে করো খেলা,
জীয়ন মরণ যাবে জ্বালা তোমার এখতিয়ারি ।।
ত্রিপুন্নিরও তিনটি ধারা, ভাঙা নাও মোর পাল ফাড়া
কালাশায় কয় ডুবলো ভরা বিনে কাণ্ডারী ।।
ধাইপুর গ্রাম বসত বাড়ি, আতুয়াজানে পরগনা ধরি
দিরাই থানা, সুনামগঞ্জ সদর কাছারি ।
পোষ্টাফিস পাইল গ্রাম, শ্রীহট্ট জিলার নাম
কালাশার ঠিকানা দিলাম পরিচয় করি ।।
No comments:
Post a Comment
Your comments make me happy !